ব্যালটের গন্ধ
- আকতারুল ইসলাম ০৯-০৫-২০২৪

এখন আর কেউ বলে না,
ভাত দে হারামজাদা নয়তো
পুরো দেশটাই চিবিয়ে খাবো।
না, এখন আর কেউই বলে না,
পূর্ণিমার চাঁদ ঝলসানো রুটি।
কিংবা ক্ষুধার রাজ্যে গদ্যময়
আমাদের এই অশান্ত বসুন্ধরা।
না, এখন আর কেউ বলে না,
হে দারিদ্র্য তুমি মোরে করেছ
চির মহীয়ান কিংবা গরীয়ান।
না, আমাদের উপেন আর তার
দুই বিঘা জমির কথা বলে না।
এযুগের জীবনানন্দ দাশ বাবু
তাঁর বনলতার চুলে মুগ্ধ নয়।
নীললোহিত আর সংক্ষুব্ধ সুরে
বলেন না কেউ কথা রাখেনি।
কেউ আর তরুণদের বলে না
যুদ্ধে যাবার এখনই শ্রেষ্ঠ সময়।
আঠারো বছরের গান শোনাতে
সুকান্ত ভট্টাচার্য্য আর আসেন না।
কত আসাদের শার্ট রক্তাক্ত হলো
তবুও কেউ আর কাব্য লেখে না!
কেউতো আর বলে না আমাদের
আগে সমাজতন্ত্রের বড় প্রয়োজন।
না, কেউ আর তারুণ্যের জাগরণ
কামনা করে পায়রা উড়ায় না।
মুক্তির লড়াই-সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে
পড়ার আহ্বান কেউ করে না।
গণতন্ত্রের মুমুর্ষ দশায় ব্যথিত
হয়ে শোকগাথা কেউ লেখে না।
এযুগে সৃষ্টিশীলতার পথ অবরোধ
করে আছে শত শকুনের দল ।
বালার পথে প্রান্তরে প্রতিধ্বনিত
হচ্ছে মুক্তির নিষ্ফল আবেদন।
মুক্তি কোথায়, গণতন্ত্র কোথায়?
এযুগের তিরিশোর্ধ তরুণেরা
জানে না ব্যালট বলে কিছু আছে।
ওরা ব্যালটের গন্ধ শুঁকতে চায়।
পারবে কি তা দিতে, মহারাজ?
( ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, রংপুর)

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।